আমরা আজ দেখাবো লিনাক্স কার্নেলের একটি জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম উবুন্টু ১৪ কিভাবে ইন্সটল করতে হয়। আর এজন্য আপনাদের জন্য একটি সহজ ও পূর্ণাঙ্গ ভিডিও টিউটোরিয়াল তৈরি করেছি। তবে ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখার আগে কিছু বিষয় জেনে রাখলে বোঝা সহজ হবে।

আপনার কম্পিউটারে যে কোন তথ্য হার্ড ডিস্কের একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে থাকে। আপনি চাইলে আপনার হার্ড ডিস্কটিকে নির্দিষ্ট অংশে বিভাজিত করতে পারেন এক এক অংশ এক এক কাজের জন্য। এই বিভক্ত অংশগুলোকেই বলা হয় পার্টিশন। এক একটি পার্টিশনে আপনি এক একটি অপারেটিং সিস্টেম রাখতে পারেন। উইন্ডোজ পার্টিশনকে একটি ইংরেজি বর্ণমালা দিয়ে নামকরণ করা হয়। ( যেমনঃ C: বা D:)। কিন্তু লিনাক্সে এই নামকরণ হয় একটু ভিন্নভাবে। লিনাক্সে আপনার প্রথম ড্রাইভটি হল "/dev/sda” । দ্বিতীয় ড্রাইভটি হল "/dev/sdb”। এখানে ড্রাইভের অধীনে কোন পার্টিশনকে সংখ্যা দিয়ে নামকরণ করা হয়। যেমনঃ প্রথম ড্রাইভের একটি পার্টিশন হল "/dev/sda1”। উবুন্টু ইন্সটল করতে হার্ড ডিস্ককে তিনভাগে ভাগ করতে হয়। একটি root partition যেখানে উবুন্টু ইন্সটল হবে, swap area ( সোয়াপ হচ্ছে এমন একটি পার্টিশন যেখানে হার্ড ড্রাইভ অস্থায়ীভাবে ফাইল জমা রাখে। সোয়াপ পার্টিশন রাখা বাধ্যতামূলক না হলেও আপনার র্যাম যদি ১ গিগার কম হয় তবে র্যামের দ্বিগুণ সোয়াপ পার্টিশন তৈরি করলে আপনার কম্পিউটার অনেক দ্রুত কাজ করবে। ১ গিগা বা তার বেশি হলে সোয়াপ পার্টিশন ১ গিগা বা র্যামের সমপরিমাণ রাখতে পারেন), আর অন্যটি হচ্ছে home partition যেখানে সবকিছু সেভ করে রাখবেন এবং পরবর্তীতে আবার লিনাক্স ইন্সটল করলে হোম পার্টিশনে রাখা ডাটা নষ্ট হবে না। একাধিক ড্রাইভ পার্টিশন করলে fat32 এবং /homeবা /dos বা /windows সিলেক্ট করে পার্টিশন তৈরি করতে পারেন। আর ডুয়েল বুট করলে আগে উইন্ডোজ সেটআপ দিবেন। তারপর C ড্রাইভ বাদে ১৫,২০,২৫ গিগা ইত্যাদি পরিমাণ জায়গা ফ্রি করে নিবেন। এরপর একইপদ্ধতিতে উবুন্টু ইন্সটল করবেন। এক্ষেত্রে হোম পার্টিশন করতে হবে না, রুট পার্টিশন ও সোয়াপ এরিয়া তৈরি করে নিলেই হবে।
তাহলে আর দেরি কেন ! নিচের লিঙ্ক থেকে ভিডিওটিদ্রুত ডাউনলোড করে শিখে নিন আর উবুন্টু পিসিতে ইন্সটল করুন।